ইখলাছুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে কমিটি গঠনের নামে প্রতারনা ও পদ বানিজ্যের অভিযোগ
নিজস্বপ্রতিবেদক:
দেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহযোগী সংগঠন গুলোর মধ্যে যুবদল অন্যতম। আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে উত্তপ্ত রাখতে এই সংগঠনটি সব সময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের লক্ষে সারা দেশে যুব দলকে শক্তি শালী করে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রীয় যুবদল সারা দেশে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। উক্ত নির্দেশের প্রেক্ষিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি জনাব মাহমুদুল হক রুবেল সাহেবের উপস্থিতি ও মতামত এবং জেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক আতাহারুল ইসলাম আতার পরামর্শে জেলা সাংগঠনিক টিম এর তত্বাবধানে উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে দির্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ কারী ত্যাগী নেতাদের সমন্বয়ে কাউন্সিল ও সমঝোতার মাধ্যমে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবু রায়হান আল বেরুনী যুগ্ম আহবায়ক আবু সালেহ, হোসাইন, আফসারুজ্জামান বাধন ও ফারুক হোসেন শ্যামল স্বাক্ষরিত শ্রীবরদী উপজেলার ইউনিয়ন সমুহের কমিটি গঠিত হয়। যথাক্রমে ২০২৩ সালের জানুয়ারির ০২ তারিখে আনিছুর রহমান রিপন কে সভাপতি ও ফারুক হোসেন শ্যামল কে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়ন কমিটি, জানুয়ারির ০২ তারিখে আবু সামা কে সভাপতি ও হাবিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট গরজরিপা ইউনিয়ন কমিটি
জানুয়ারির ০২ তারিখে মোঃ ফয়জুর রহমান বেলাল কে সভাপতি ও মনোয়ার হোসেন মনুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট তাতিহাটি ইউনিয়ন কমিটি,জানুয়ারির ০২ তারিখে রাশেদ ইবনে আজিজ কে সভাপতি ও আতিকুর রহমান সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট গোসাইপুর ইউনিয়ন কমিটি,
জানুয়ারির ২০ তারিখে মোহাম্মদ আবু সাইদকে সভাপতি ও শাকিলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট রানী শিমূল ইউনিয়ন কমিটি, ফেব্রুয়ারীর ১৫ তারিখে মোস্তাফিজ কে সভাপতি ও হুমায়োন কে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন কমিটি, ফেব্রুয়ারীর ১৫ তারিখে মোঃ সেলিম মিয়া কে সভাপতি ও মোঃ নবী হোসাইন ওরফে সজিব আকন্দ কে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট শ্রীবরদী সদর ইউনিয়ন কমিটি মার্চের ২৩ তারিখে মাহবুবুর রশিদ বাদল কে সভাপতি ও খন্দকার এম বিল্লাল হোসাইন উজ্জল কে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট ভেলুয়া ইউনিয়ন কমিটি জুনের ১০ তারিখে হারুনুর রশিদ সরকার কে সভাপতি ও আবু জাকারিয়া বাবু কে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট খরিয়া কাজিরচর ইউনিয়ন কমিটি,
গঠিত হয়। উক্ত কমিটি জেলা সাংগঠনিক টিম প্রধান ও জেলা যুবদলের সিঃ সহ সভাপতি শ্রী জিতেন্দ্র মজুমদার,
সাংগঠনিক টিমের সদস্য ও সিঃ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মফিজুল ইসলাম মোল্লা,
সাংগঠনিক টিমের সদস্য ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আলী উক্ত ইউনিয়ন কমিটি সমূহ অনুমোদন করেন।
শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজপথ কাঁপানো এই যুব সংগঠনকে কলুষিত, বিভাজন দলে হানাহানি মারামারি ও ভাংগনের অপচেষ্টায় লিপ্ত দলের গুটিকয়েক স্বার্থবাজ নেতা। শ্রীবরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় শেরপুর জেলা কমিটি উক্ত উপজেলা আহবায়ক কমিটিতে আবু রায়হান আল বেরুনীকে আহবায়ক ও ইখলাছুর রহমানকে যুগ্ন আহবায়ক করা হয়। কিন্তু ইখলাছুর রহমান লিটন প্রতারনা পূর্বক নিজেকে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে নেতা কর্মীদের সাথে প্রতারনা করে আসছে। বিগত দিনে উপজেলার সকল ইউনিয়নে সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি সমূহ গঠন করা হয়েছে । ইতি মধ্যে উক্ত কমিটি সমূহ জেলা সাংগঠনিক টিম অনুমোদন করেছেন। কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন শ্যামল, সদর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সেলিম মিয়া, খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি হারুনুর রশিদ, গোসাইপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সুমন বলেন জেলা কমিটি অনুমোদন দেওয়া সত্বেও ইখলাছুর রহমান লিটন নিজের পকেট ভারী করতে মন গড়া ভাবে নতুন কমিটি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ইউনিয়নে পদ প্রত্যাশিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ভবিষ্যতে ভালো একটি পদের আশায় উঠতি বয়সী যুবক সহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা কর্মীরাও যুবদলের পদ নেওয়ার এ প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়ছেন। ভেলুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এম বিল্লাল হোসাইন উজ্জল, কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোস্তাফিজ, গরজরিপা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু সামা, রানী শিমূল ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাকিল বলেন ইতি মধ্যেই যুদলের ইউনিয়ন কমিটি সমূহ গঠন হওয়ায় মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কমিটি দিতে না পেরে এখন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে ইখলাছুর রহমান লিটন । শ্রীবরদী থানা ইউএনও অফিস সাব রেজিস্ট্রার অফিস সহ বিভিন্ন অফিস সমূহে ইখলাছুর রহমান লিটন তার অনুসারীদের বিভিন্ন ইউনিয়নের ভূয়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। ইখলাছুর রহমান লিটনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সে কোন কমিটি দেই না এবং তার কমিটি দেওয়ার কোন এখতিয়ার নাই তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।