সোনাইমুড়িতে ভুয়া ডিগ্রী ধারী ডাক্তারের অপ চিকিৎসা
By
Natundin
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের কল্লা পোড়া বাজারে যত্ন মেডিকল এর স্বত্বাধিকারি ডাঃ মোঃ জাকের হোসেন। ডি, এ, এম, এফ( ঢাকা)।বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ। এক্স উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, সাভার ঢাকা। বি, এম, ডি, সি রেজিস্ট্রেশন নং ডি ১৭৫৪৯।মেডিসিন, চর্ম, মা ও শিশু রোগে বিশেষজ্ঞ। রোগী দেখার সময় প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। তথ্যসূত্র মতে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী দেখেন। ডাক্তার সাহেবের ভিজিট একশত টাকা। অধিকাংশ রোগীর প্রেসক্রিপশনে লিখেন এন্টিবায়োটিক। বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সনদ অনুযায়ী এমবিবিএস ছাড়া কোন ডাক্তার এন্টিবায়োটিক লিখতে পারেনা এবং রোগীতে কোনো রকমে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা যাবে না। ৫০ জন রোগী হলে প্রতিদিনের ভিজিট বাবদ ইনকাম পাঁচ হাজার টাকা। মাসে দাঁড়ায় এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। রোগীদেরকে বাধ্য করা হয় তার দোকান থেকে ওষুধ ক্রয় করতে। ভূঁইফোড় ডাক্তারের অপ চিকিৎসা হতে বাঁচতে কতেক সচেতন এলাকাবাসী সাংবাদিকদের বিষয়টি অবগত করেন। সাংবাদিক রা উক্ত বিষয়টির তথ্য উদঘাটনের জন্য কল্লাপোড়া বাজারে অবস্থান নেন। ডাক্তারের কাছে আগত রোগীদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসে। অনুসন্ধানী নিউজের স্বার্থে দুইজন সাংবাদিক রোগী সেজে উক্ত ডাক্তারের নিকট চিকিৎসার জন্য শরণাপন্ন হন। সাংবাদিক যুগল নাম পরিচয় গোপন রেখে, একজনের ঘন, ঘন জ্বর আসে এবং ছেড়ে যায়, ও মারাত্মক কাশির ভূমিকায় ডাক্তারের সামনে অবতীর্ণ হন। ডাক্তার সাহেব ঐ রোগীর শারীরিক তাপমাত্রা নির্ণয় না করে এবং কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা না লিখে প্রেসক্রিপশন লেখা শুরু করেন। প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়োটিক সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ঔষধ লিখেন। প্রেসক্রিপশন ফি বাবদ একশত টাকা নেন, এবং ৫৪০ টাকার ঔষধ দেন। অপর রোগীর নখ এর চিকিৎসার জন্য সাদা কাগজে এন্টিবায়োটিক সহ আরো কিছু ঔষধ লিখেন। ঔষধ বাবদ ২৩০ টাকা নেন। সাংবাদিক রা বেরিয়ে চলে আসেন। ৩০ মিনিট পর দুইজন রোগী সাংবাদিক সহ তিনজন সাংবাদিক উক্ত ডাক্তারের চেম্বারে প্রবেশ করেন। সাংবাদিক পরিচয়ে ডাক্তার সাহেবের অনুমতিক্রমে পাঁচ মিনিট সময়ের আবেদন করেন। উক্ত আবেদনে ডাক্তার সাহেব সাড়া দিয়ে বলেন, আপনারা আমারে এই জনসমক্ষে কেন হেয় প্রতিপন্ন করছেন। আমার রুজি রোজগার কি আপনাদের সহ্য হচ্ছে না। আমার সমস্ত কাগজপত্র ঠিক আছে, আমি একজন ডিপ্লোমা ধারী ডাক্তার। আমি সাবেক একজন উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। আমি রোগী দেখব না কে দেখবে। আমার পদ মর্যাদা প্রায় এম বি বি এস সমমান। আপনারা কে? এখান থেকে যান। সাংবাদিক আমারও আছে। এ কথা বলে সাংবাদিকদের কে বের করে দেন। এর কিছুক্ষণ পরে সাংবাদিকদের সাথে অর্থের বিনিমেয় এই বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি সমাধান করতে না পেরে সাংবাদিকদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেন, উক্ত বিষয়টি মুঠোফোনে, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুম ইফতেখার কে অবহিত করা হলে তিনি বলেন ভুয়া ডাক্তারদের বিষয়ে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে আমি অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।