মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে জাপানি নাগরিক মিস মাকি সানোর অংশগ্রহণ
মোফাজ্জল হোসেন ঃ
মুন্সীগঞ্জে পুরনো ইতিহাস এবং এই অঞ্চলের ঐতিহ্য দেখা ও জানার লক্ষ্যে আসা জাপানি নাগরিক মিস মাকি সানো। জেলা প্রশাসন মুন্সীগঞ্জের বিশেষ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি তাকে আকৃষ্ট করে এবং তিনি সেই বৃক্ষ রোপন কর্ম সূচি তে অংশগ্রহণ করেন।
বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আয়ুষ্কালের সংখ্যার সমান (২০২৪০ টি করে) বৃক্ষের চারা রোপণ ও বিতরণের কর্মসূচিকে তিনি সাধুবাদ জানান।জাতির পিতার আয়ুষ্কালের সংখ্যার সমান(২০২৪০ টি করে) বৃক্ষের চারা রোপণ ও বিতরণের কর্মসূচিকে তিনি সাধুবাদ জানান।
এসময় তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধু ছিলেন সিংহ হৃদয়ের অধিকারী,১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের সময় হতে বাংলাদেশকে 'জাপানের-পরম বন্ধু' হিসেবে অভিহিত করা হয়। জাপান সফরকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ১৬ বছর বয়সী কন্যা শেখ রেহানা ও কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। জাপান পৌঁছানোর দিন শেখ রাসেলের বয়স ১০ বছর পূর্ণ হয়। সেই সফরে জাপানের জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার অপরিহার্যতাকে প্রবলভাবে সমর্থন করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই সফরের পর অনেক জাপানিই বাংলাদেশকে চিনতে শুরু করে।
১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাপানে বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শীর্ষ পর্যায়ের প্রথম সফরের সময় বাংলাদেশ জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে অবিসংবাদিত সুযোগ সৃষ্টি হয়।
জেলা প্রশাসন মুন্সীগঞ্জ মূলত- “ জাতির পিতা
আয়ু পেয়েছিলেন-২০হাজার২শত৪০ দিন,এ সংখ্যার সাতগুণ বৃক্ষের ফুলে-ফলে মুন্সীগঞ্জ হবে রঙিন ” স্লোগানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন ও ৬টি উপজেলা প্রশাসন- মোট৭ টি প্রতিষ্ঠান ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস থেকে শুরু করে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পর্যন্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান মিলে এ সময়ের মধ্যে মোট ১,৪১,৬৮০ টি বৃক্ষের চারা রোপণ ও বিতরণ করবে।
তবে ব্যাতিক্রম ছিল উপজেলা প্রশাসন শ্রীনগর,এর আয়োজনটি।পাটাভোগ ইউনিয়ন এর ছনবাড়ী নামক স্থানে পথচারীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়, সে সময় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: আবুজাফর রিপন, বিপিএএ, এবং জাপানি নাগরিক মিস মাকি সানো।