বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সংকটে নবীনগর

বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সংকটে নবীনগর

ইকরাম হোসাইন:


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপিজি) বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।এদিকে খোদ বসুন্ধরা কোম্পানিই গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহ করছে না বলে জানান স্থানীয় ডিলার মেসার্স মাহাদি এন্টারপ্রাইজ।ফলে সীমিত আকারে সরবরাহ অব্যাহত থাকা কোম্পানির কাছে খুচরা গ্রাহকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

জানাযায়, শহরের অধিকাংশ গ্যাসের দোকানেই মিলছে না বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডার। দুই-একটি দোকানে মিললেও ১২ কেজি সিলিন্ডারের সরকার নির্ধারিত মূল্য ১১৭৮ টাকা হলেও বেশ কিছু দোকানে ১৭শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

অধিকাংশ পরিবারেই বসুন্ধরা গ্যাস ব্যবহৃত হয়। আর বসুন্ধরা গ্যাসের সিলিন্ডার বাজারে না থাকায় অন্যান্য কোম্পানির গ্যাসের উপর চাপ বেড়েছে। আর এ সুযোগে অন্যান্য কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডারও খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রি করছেন।

আজ বুধবার দিনব্যাপী পৌরশহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানেই বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডার নেই। আর থাকলেও নির্ধারিত দামে মিলছে না গ্যাস সিলিন্ডার। 

পৌর এলাকার বাসিন্দা সামছুল হক বলেন, বাড়িতে বসুন্ধরা গ্যাস ব্যবহার করি। কয়েকদিন হলো গ্যাসের একটি সিলিন্ডার ফুরিয়ে গেছে। অধিকাংশ দোকানে খোঁজ নিয়ে বসুন্ধরা গ্যাসের সিলিন্ডার পাইনি। একটি দোকানে পেয়েছি, দাম চেয়েছে ২ হাজার টাকা। 

তাসলিমা বেগম বলেন, ১২ কেজি বসুন্ধরা সিলিন্ডার গ্যাস ১৫ দিন আগে নিয়েছি ১৮০০ টাকায় আর এখন ১৯০০ টাকা দিতে হয়েছে। 

আবু সাদেক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবু সাদেক বলেন, গত দুই তিন মাস যাবত বসুন্ধরা সিলিন্ডার পাচ্ছিনা। কারণ বসুন্ধরার স্থানীয় ডিলার গভীর রাতে তার পছন্দের দোকানীকে রাতে গ্যাস সিলিন্ডার সাপ্লাই করেন।

এ ব্যাপারে নবীনগর বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের ডিলার মো. বাছির উদ্দিন বলেন, আমাদের দশ হাজার সিলিন্ডারের চাহিদা থাকলেও কোম্পানি আমাদেরকে দুই হাজার সরবরাহ করছে। এতে করে সংকট দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত দামের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে খুচরা দোকানীর উপর দায়ভার চাপিয়ে দেন।

নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান বলেন, এলপি গ্যাস নিয়ে ভোক্তাদের কাছ থেকে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।