![চট্টগ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রেইনবো সিটি প্রপার্টিজের বহুতল ভবন নির্মাণ চট্টগ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রেইনবো সিটি প্রপার্টিজের বহুতল ভবন নির্মাণ](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjlx1zu_7sqwU1IuMApwdrM_mHEEKhMqMvre-rOziUy0-XfW9nmJISgDKUgDem1tXWYomRrpx0oTmHPcNOmqk-uigoeGuSoAWS1AgG1omZ9TmBZFBamQWT1ZNComyYII3-5hMjC8297YydU7-sThsYwchGafLgN9yj1e4EorL0D-3wl7jJaqhHchGMoI60/s16000/WhatsApp%20Image%202023-07-19%20at%2012.50.30.jpg)
চট্টগ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রেইনবো সিটি প্রপার্টিজের বহুতল ভবন নির্মাণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : আদালতে চলমান মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জোর পূর্বক কাজ চলমান রাখার অভিযোগ উঠেছে রেইনবো সিটি প্রপার্টিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সরে জমিনে দেখা যায় চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন চট্টেশ্বরী রোডের ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি জমিতে এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সংবাদ কর্মী প্রতিবেদককে নালিশী তপশীলোক্ত ভূমির মালিক আবুল বশর জানান, প্রতিষ্ঠানটির সাথে ২০১৪ সালে আমার একটি চুক্তি সম্পাদন হয়।
চুক্তির পর ২০১৫ সাল সিডিএর প্ল্যান পাস করিয়ে ১৬ তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি পায় রেইনবো
সিটি প্রপার্টিজ। তবে ১৬ তলা ভবন নির্মাণের জন্য সিডিএর অনুমতির বৈধ কাগজ আমাকে দেয়ার
কথা থাকলেও তারা কোন প্ল্যান পাসের কাগজ আমাকে দেখাতে পারেনি কিংবা দেয়নি। এ নিয়ে
আমার সাথে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিমের সাথে একাধিকবার বৈঠক হলে তিনি
কাগজ দিবেন বলে বলে কাল ক্ষেপন করেন।
একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এম এ হাকিম দুবাই চলে যান। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশে
আসার পর ২০১৮ সালে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াসউদ্দিন এর উপস্থিতিতে একটি বৈঠকে আমার
স্বাক্ষর নেন। তখন কাউন্সিলরের সম্মানার্থে আমি লিখিত ডকুমেন্টসে স্বাক্ষর প্রদান করি। কিন্তু তখনো আমাকে চুক্তি মোতাবেক কোন কাগজ বুঝিয়ে দেয়নি। তিনি আরো জানান, কোন কাগজপত্র বুঝিয়ে না দিয়ে ঐ বছরই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন রেইনবো সিটি প্রপার্টিজ এর চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম। পরবর্তীতে বিভিন্ন অজুহাতে কাল ক্ষেপন করতে থাকেন আব্দুল হাকিম। আর এই সুবাদে ভবন নির্মাণের কাজ চলতে থাকে। সবশেষ কোন উপায়ন্তর না দেখে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে আমি একটি উকিল নোটিশ প্রেরণ করি। এতে তারা জবাবে কোন সদোত্তর দিতে পারেনি। এরপর আমার আইনজীবীর পরামর্শে আমি বিজ্ঞ আদালতে একটি মিছ মামলা দায়ের করি। মিছ মামলা নং-১৬২/২০২৩। মামলা দায়েরের পর ঐ স্থানে আমি একটা সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিলে পরেরদিন তারা সাইনবোর্ড খুলে ফেলে পূনরায় কাজ শুরু করে।
আমি বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানালে বিজ্ঞ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার নোটিশের মাধ্যমে আগামী ১৪/০৮/২০২৩ ইং পর্যন্ত উভয় পক্ষকে নালিশী তপশীলোক্ত সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। তবে তারা নোটিশ পেয়েও এখনো অবদি কাজ বন্ধ না রেখে অনায়াসে কাজ চলমান রেখেছে। যা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী। এদিকে সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে নালিশী তপশীলোক্ত সম্পত্তিতে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ চলমান দেখা যায়। তবে কাজ চলমান থাকায় সংবাদ কর্মীদের পরিচয় পেয়ে গেইটের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
রেইনবো সিটি প্রপার্টির চেয়ারম্যান এম এ হাকিমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অজান্তে স্বীকার করে বলেন, যেহেতু আদালতে নিষেধাজ্ঞা আছে তাই
কেউ প্রবেশ করতে পারবেনা। তিনি কাজ চলমানের বিষয়টি অবগত নয় বলে প্রতিবেদককে জানান এবং এটি আদালতের বিষয় বিধায় তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি নন বলেও জানান। একপর্যায়ে তিনি প্রতিবেদককে অফিসে গিয়ে কথা বলতে বলেন। তিনি আরো বলেন এটি একটি জয়েন্ট
স্টক কোম্পানি, কোন কিছুর জবাব দিতে হলে আপনার কাছে নয় আদালতে জবাব দিব।