কুকুর এখন ভালুকা পৌর বাসিন্দার আতঙ্কের নাম

কুকুর এখন ভালুকা পৌর বাসিন্দার আতঙ্কের নাম


ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :   


কুকুর এখন ভালুকা পৌর বাসিন্দাদের আতঙ্কের নাম। পৌর এলাকার প্রায় সব রাস্তাতেই কুকুর দেখা যায়। সড়কে তাদের পূর্ণ আধিপত্য। শিশু কিংবা কিশোর যেকোনো বয়সী মানুষ কুকুরের সামনে পড়ে গেলেই ঘেউ ঘেউ করে তাদেরকে কামড়ে দিতে তেড়ে আসে। কুকুর কামড়ে দিয়েছে এ রকম আক্রান্তের সংখ্যা পৌর এলাকায় বহু পাওয়া যাবে। কুকুর কাউকে না কাউকে কামড়ে আক্রান্ত করেছে এমন খবর প্রায়ই পাওয়া যাচ্ছে।  
পৌর এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, টিএন্ডটি রোড এলাকা, কলেজ এলাকা, সুরুজ খাঁর ভিটা এলাকা, খারুয়ালী গজারিয়ার খাল এলাকা, বাজার এলাকা, ভান্ডাব, হাসপাতাল এলাকা, বাঘরাপাড়া এলাকা, তোতা খাঁর ভিটা এলাকা ও ফাজিল মাদরাসা এলাকাসহ অনেক রাস্তাতেই দল বেঁধে কুকুরগুলো ঘুরাফেরা করছে।
খারুয়ালী গ্রামের মুহাম্মদ আল হাদী জানান, কুকুরের কারণে তিনি তার বাচ্চাকে প্রায়ই নিজে স্কুলে দিয়ে যান। শিশু-কিশোররা একা একা রাস্তায় বের হলে দল বেধে থাকা কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ শব্দে তেড়ে আসে। অনেককেই কামড়ে মারাত্মক আহত করে। কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছে এমন লোকজন তাদের এলাকায় অনেক পাওয়া যাবে।
টিএন্ডটি মহল্লার সালমা আক্তার জানান, তার অসুস্থ মা প্রতিদিন সকালে হাটাহাটি করতেন। সকালে বাসা থেকে বের হলেই টিএন্ডটি রোডে কুকুরগুলো ঘিরে ধরে। ঘেউ ঘেউ শব্দ এলাকার আকাশ বাতাস ভারী করে তোলে। একা একা বের হলেই দারুন সমস্যা হয়। তবে দু-তিনজন সাথে থাকলে কুকুর কাছে আসেনা। এ এলাকায় অনেককেই কামড়ে আক্রান্ত করেছে।
সুরুজ খাঁর ভিটার বাসিন্দা গার্মেন্টসকর্মী ভজন দাস জানান, তাদের মহল্লায়ও অনেক কুকুর রয়েছে। সকালে কারখানায় যাওয়ার পথে প্রায়ই কুকুরগুলো তাকে দেখে ঘেউ ঘেউ শুরু করে। তেড়ে আসে, কামড় দিতে চায়। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা ইটা বা লাঠি দেখালে কুকুরগুলো সরে যায়। এটি এখন সমস্যা নয়। কুকুর পৌর এলাকার সংকটে পরিণত হয়েছে।  
৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহাব উদ্দিন খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কুকুর মারার অর্ডার এখনও হয়নি। অর্ডার পাওয়ার পরই কুকুর নিধন করা হবে। কুকুরগুলো তার ওয়ার্ডে পথচারিদের একা পেয়ে প্রায়ই রাস্তা আটকায় এবং কামড়ে দিতে চায়। পথচারিরাও ব্যাপক আতঙ্কিত হয়। এ ব্যাপারে অনেক বাসিন্দারাই তার কাছে কুকুর আতঙ্কের কথা বলেছেন। কুকুর আতঙ্কের ব্যাপারটি তিনি পৌর মেয়রের সাথে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন।
পৌর মেয়র ডা. এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন জানান, খাদ্যের সন্ধানে অনেক বহিরাগত কুকুর পৌর এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এখানে কুকুরগুলো খাবার পেয়ে পূর্বের জায়গায় আর ফিরছেনা। এদিকে পৌর বাসিন্দারা কুকুর আতঙ্কের বিষয়টি শুনেছি। তাদের এ সমস্যা সমাধানে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।