নড়াইলের পল্লীতে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মহিলাসহ ৩০ জন আহত

নড়াইলের পল্লীতে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মহিলাসহ ৩০ জন আহত


উজ্জ্বল রায়,নড়াইল থেকে:

নড়াইলের লোহাগড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক মেম্বার ইব্রাহীম মোল্যা ও বর্তমান মেম্বার নজরুল মোল্যা গ্রুপের মধ্যে সংঘষের্র খবর পাওয়া গেছে। উজ্জ্বল রায়,নড়াইল থেকে জানান, বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের মহিলাসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের ঘর-বাড়ী ভাংচুর করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ,কালিয়া,লোহাগড়া ও নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লোহাগড়া থানার অফিসার ইসচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সিমান্তবর্তী লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামের পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে চোর সন্দেহে পিতার নিকট সোপর্দ করা হয়। রবিউল এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী রহমানের ছেলে সুজনের নাম সংযুক্ত করে। পরে নজরুল মেম্বার সুজনকে বেদম মারপিট করে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান শুক্রবার মিমাংসার দিন ধার্য়্য করে। কিন্তু বিচারের অপেক্ষা না করে বৃহস্পতিবার ভোরে উভয়পক্ষরা দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে মহিলাসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। স্থানীয় মোবারেক হোসেন বলেন, নজরুল মেম্বার সজুনকে শাসন করতে গেলে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম মোল্যাসহ ওই পক্ষের লোকজন সুজনকে নির্দোষ দাবি করে এর প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনার এক পর্যায়ে সকালে দেশীয় তৈরী ঢাল, সড়কি,রামদা, ইটপাটকেল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষ বাধে। এতে দুপক্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৮ জনকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত অন্যদের কালিয়া ও লোহাগড়া হাসপাতালসহ স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কোটাকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসান আল মামুদ বলেন,‘শুক্রবার বিচারের দিন ধায্য ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে নজরুল মেম্বার রাতে মিটিং করে বৃহস্পতিবার এ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইসচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ সময় কয়েকটি বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ৩টি ঢাল, ১১টি সড়কি ও ২টি বল্লম উদ্ধার করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।